(দেবাশীষ চক্রবর্ত্তী বাবু) প্রতিনিধিঃ প্রতারক চক্র পুলিশ প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে টাকা নেওয়ার ঘটনা নতুন নয়। বিভিন্ন সময় খবরের পাতায় চোখ রাখলে দেখা যায় প্রশাসনিক কর্মকর্তা, রাজনৈতিক বেক্তি, সরকারি কর্মকর্তা, সাধারণ মানুষের নাম ভাঙ্গিয়ে টাকা কামাচ্ছে এক শ্রেনীর প্রতারক চক্র। প্রশাসনের নজর এড়িয়ে প্রতারক চক্র প্রতারণার ফাঁদ পেতে টাকা হাতিয়ে নিয়ে সর্বশান্ত করছে মানুষকে।

তেমনি এক ঘটনার খবর জানতে পেরেছে কলারোয়ার নিউজ। সরসকাটি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ তৌফিক আহম্মদ টিপু, তিনি দৃর্ঘ ১ বছর যাবৎ সরসকাটি পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত থেকে সততা ও নিষ্ঠার সাথে প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করে আসছেন, সম্প্রতি তার নাম করে তার আত্বিয় পরিজন ও রিলেটিভদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার ঘটনা ঘটিয়েছে একটি প্রতারক চক্র।

গত ১ অক্টোবর সরসকাটি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ তৌফিক আহম্মদ টিপু তার নিজস্ব ফেসবুকে ওয়ালে এমনি একটি বার্তা শেয়ার করেছেন। হুবহু তুলে ধরলাম। আমার পরিচয় দিয়ে বিভিন্নজনের কাছে কোন একটা প্রতারকচক্র বিকাশে টাকা চাচ্ছে, টাকা না দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হইল।

তবে প্রতারকের তৈরী পরিকল্পনা সম্পর্কে জানিয়েছেন তৌফিক টিপু। সরসকাটি পুলিশ ফাঁড়ি থেকে নিলামে বিভিন্ন পন্য সামগ্রী বিক্রি করা হবে, ক্রয় করলে টাকা বিকাশ করুন। যারা ক্রয়ে আগ্রহ প্রকাশ করে টাকা দিয়েছেন তারা প্রতারিত হয়েছেন। তাৎক্ষনিক ঘটনার বিষয়ে তৌফিক টিপু জানতে পেরে তিনি তার নিজস্ব ফেসবুক ওয়ালে একটি পোষ্ট দেন।

প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়েছেন এমন লোকের সংখ্যা কম নয়, তবে সঠিক তথ্য জানা সম্ভব হয়নি যে কত জন প্রতারিত হয়েছেন। তবে বেশ কয়েক জন জনপ্রতিনিধি জয়নগর ইউনিয়নের যাদের কাছে টাকা চেয়ে ফোন করা হয়েছে, ৮নং জয়নগর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রওশন আলী খাঁ,

তিনি প্রতারকের ফোন পেয়ে, কোন বিকাশ নং এ টাকা দিবেন সেটি জানার জন্য তৌফিকের কাছে ফোন দিয়ে ঘটনার সত্যতা জানতে পারেন, যে তিনি প্রতারকের খপ্পরে পড়েছেন। একি ঘটনা মানিকনগরের ইউপি সদস্য আমিরুল ইসলামের সাথেও ঘটেছে, জয়দেব সাহা সহ তথ্য না পাওয়া অনেক জনের সাথে এমন অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটেছে ।

প্রতারণার বিষয়ে সরসকাটি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ তৌফিক আহম্মদ টিপু জানিয়েছেন, সরসকাটি পুলিশ ফাঁড়ি থেকে কিছু পন্য সামগ্রী নিলামে বিক্রির কথা বলে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে অর্থ আত্বসাতের ঘটনা ঘটিয়েছে প্রতারক চক্রের সদস্য।

তিনি সকল ইউনিয়ন বাসি সহ অন্যদের প্রতারক চক্র থেকে দুরে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন এবং সরসকাটি পুলিশ ফাঁড়ি থেকে কোন পন্য সামগ্রী নিলামে বিক্রি করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন প্রতারক চক্রের মোবাইল নাম্বার টি তিনি পেয়েছেন এবং তাদের প্রশাসনের প্রক্রিয়ায় অনুসন্ধান করা হচ্ছে চক্রটি ধরার জন্য।